ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে আরও ৩১৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গত ১০ অক্টোবর সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় দখলদার ইসরায়েল। তবে বারবার চুক্তি ভঙ্গ করে গাজার সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শনিবার (২২ নভেম্বর) জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় হাসপাতালে আরও সাতটি মরদেহ আনা হয়। এতে করে মোট নিহতের সংখ্যা ৩১৮ জনে পৌঁছায়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুইদিনে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। এতে করে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর আহতের সংখ্যা ৭৮৮ জনে পৌঁছেছে। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। দখলদারদের হামলার কারণে উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
সুড়ঙ্গে আটকে থাকা যোদ্ধারা বের হওয়ার পর ইসরায়েলের হামলা, পাঁচজন নিহত
এরআগে গতকাল রাফাতেগত মাসে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও রাফাতে হামাসের প্রায় ২০০ যোদ্ধা আটকা পড়েন। তারা সুড়ঙ্গের ভেতর অবস্থান নিয়ে আছেন। যে যোদ্ধাদের গতকাল ইসরায়েল হত্যা করেছে তারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। বিমান হামলা চালিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পাঁচ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নাহাল ব্রিগেড এই হামলা চালায়। তারা দাবি করেছে, হামাসের যোদ্ধারা সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে ইসরায়েলি সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল। দখলদাররা বলেছে, তারা এমনভাবে আসছিল যা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছিল। এ কারণে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। এ কারণে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের যোদ্ধারা সেখানে আটকে যান। তাদের জীবিত বের করে গাজার অভ্যন্তরে বা অন্য কোনো দেশে পাঠানোর ব্যাপারে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর আলোচনা চলছিল। এরমধ্যেই পাঁচজনকে হত্যা করেছে তারা।
সূত্র: আলজাজিরা
খুলনা গেজেট/এএজে

